চঞ্চল চৌধুরী, ১৯৭৪ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের একজন বহুমুখী প্রতিভা যিনি একজন অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক এবং গায়ক হিসেবে অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই স্বচ্ছন্দে কাজ করেন এবং তার অসামান্য অভিনয়ের জন্য বহুল স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। চঞ্চল চৌধুরী দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন, এছাড়া মেরিল-প্রথম আলো দর্শক জরিপ পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে এবং সমালোচক পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে দুবার পুরস্কৃত হয়েছেন। তার অসাধারণ প্রতিভার জন্য তিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে মোট বারোবার মনোনীত হয়েছেন।
বিনোদনশিল্পে তার অর্জনের পাশাপাশি, চঞ্চল চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার একজন সফল শিক্ষার্থী। তার বহুমুখী প্রতিভা বাদ্যযন্ত্র বাজানো, ছবি আঁকা এবং গান গাওয়ার মতো ক্ষেত্রেও বিস্তৃত। একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি CODA, SODA এবং UODA কলেজে চারুকলার অধ্যাপক হিসেবে তার জ্ঞান বিতরণ করেন।
চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় জীবন শুরু হয় চারুকলার শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময় যখন তিনি আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য হন। তার অভিনয় দক্ষতার কারণে তিনি অসংখ্য নাটক ও টিভি সিরিজে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “রূপকথার গল্প” চলচ্চিত্রটি দিয়ে। এরপর তিনি “মনপুরা” (২০০৯), “টেলিভিশন” (২০১৩), “আয়নাবাজি” (২০১৬) এবং “দেবী” (২০১৮) চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন।
সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
তথ্য | বিস্তারিত |
---|---|
নাম | চঞ্চল চৌধুরী |
জন্ম তারিখ | ১ জুন, ১৯৭৪ |
জন্মস্থান | বয়ালিয়া, সুজানগর, পাবনা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | চারুকলা |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষকতা | CODA, SODA এবং UODA |
পেশা | অভিনেতা, মডেল, প্রবক্তা |
কর্মজীবন | ১৯৯৬ – বর্তমান |
অভিনয় জীবন | ১৯৯৬ সালে তিনি মমুনূর রাশিদের ‘আরণ্যক’ দলে কাজ করেছিলেন। |
উচ্চতা | ১.৭ মিটার |
স্বামী | শান্তা চৌধুরী |
সন্তান | শৈশব, রুদ্র, ও শুদ্ধ |
সম্বন্ধিত | রাধাগোবিন্দ চৌধুরী (পিতা), নমিতা রানী (মা) |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২ বার) |